স্বদেশ ডেস্ক:
গত ৩০ বছরে স্পেনে বসবাসকারী মুসলিমদের সংখ্যা আগের চেয়ে ১০ গুণ বেড়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে বর্তমানে দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা ২৫ লাখ এবং বেসরকারি হিসাব মতে প্রায় ৩০ লাখ বলে জানিয়েছেন ইসলামিক কমিশন অব স্পেনের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আজানা।
রোববার আলজাজিরা মুবাশির এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে মোহাম্মদ আজানা বলেন, আগে স্পেনের মুসলিম জনসংখ্যাকে পুরোপুরি অভিবাসী হিসেবে দেখা হতো। বর্তমানে স্পেনের নাগরিকদের মধ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান আছে। তাদের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মুসলিম স্পেনের নাগরিক রয়েছে। তাছাড়া কিছুসংখ্যক অভিবাসী ও স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত মুসলিমও আছে।
মোহাম্মদ আজানা আরো বলেন, স্পেনের মুসলিম জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ এসেছে মরক্কো, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সেনেগাল ও আলজেরিয়া থেকে। তাদের বেশির ভাগ কাতালোনিয়া, ভ্যালেন্সিয়া, আন্দালুসিয়া ও মাদ্রিদের মতো শিল্পোন্নত অঞ্চলে বাস করে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে স্পেনে ৫৩টি ইসলামিক ফেডারেশন রয়েছে, যারা মুসলিমদের প্রয়োজনীয় ধর্মীয় ও সামাজিক সেবা দিয়ে থাকে। তাদের তত্ত্বাবধানে প্রায় দুই হাজারের মতো মসজিদ আছে। বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী হলেও পুরো দেশে মাত্র ৪০টি কবরস্থান আছে। মসজিদ নির্মাণের অনুমতি পাওয়াই মুসলিমদের প্রধান সমস্যা বলে মনে করা হয়। তদুপরি নানা সমস্যার মধ্যেও মুসলিমদের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার অতীতের চেয়ে অনেক ভালো পর্যায়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রমজান উপলক্ষে অন্যান্য দেশের মতো স্পেনেও বিশেষ ইফতারের আয়োজন করা হয়। মোহাম্মদ জানান, রমজানের অনুষ্ঠানে স্থানীয় অমুসলিমদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কমিউনিটির সব সম্প্রদায়ের মধ্যে গড়ে ওঠে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ। পুরো বছর এ সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়। মূলত ১৯৯২ সালে স্পেন সরকারের সঙ্গে খ্রিস্টান ও ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর সহযোগিতা চুক্তি হয়, যার মাধ্যমে মুসলিমসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনগুলোও আইনি ও সামাজিক অধিকার লাভ করে।
সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির ও আনাদোলু এজেন্সি